কার্লি চুলের যত্নের টিপস | Kali chuler jotner Tips
মাথার তালু
মাথায় যাদের কোঁকড়া চুল আছে, তাদেরকে সবসময় মাথার তালু পরিষ্কার রাখতে হবে। কেননা এই ধরনের চুলের গোড়ায় বাতাস পৌঁছাতে পারে না,এর জন্য মাথার ত্বক পরিষ্কার না থাকলে চুলের গোড়ায় ফুসকুড়ি ওঠা, খুশকিসহ নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে।
চুল শুকানো
গোসল করার পর কোঁকড়া চুলগুলো ভালো করে না শুকালে চুলের গোড়ায় পানি জমে থাকে। এর জন্য গোসলের শেষে চুলগুলো ভালো করে তোয়ালে দিয়ে মুছে নিন। তারপর ফ্যানের বাতাসে দুই হাত দিয়ে চুলগুলো ফাঁক ফাঁক করে শুকিয়ে নিন। কোঁকড়া চুলেগুলো খুবই রুক্ষ। এর জন্য চুল শুকাতে কখনোই হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করবেন না।
*মোটা দাঁতের চিরুনি-
সাধারন ধরনের চুলে খুব জট লেগে থাকে,এর জন্য চুল শুকানোর পর মোটা দাঁতের চিরুনি ব্যাবহার করে আঁচড়াতে হবে।
চুলের জট-
মেথি গুঁড়া, টক দই, ত্রিফলার রস (আমলকী, হরীতকী, বহেরা) একসঙ্গে মিশিয়ে এক ঘণ্টান মাথায় রাখুন। এই মিশ্রণ চুলে দিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এতে করে চুলের জট অনেকটা কমবে।
ভাতের মাড়
চুলের গোড়ায় ঘাম জমে চুল পড়ে যায়। তাই চুল পড়া বন্ধ করতে চুলে ভাতের মাড় মেখে এক ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
প্রোটিন হেয়ার ট্রিটমেন্ট
এ ধরনের চুলে প্রয়োজন প্রোটিন হেয়ার ট্রিটমেন্ট। তাই ১৫ দিনে একবার ডিম, টক দই, নিমপাতা বাটা, পেঁয়াজের রস, মেথি গুঁড়া মিশিয়ে মাথায় ৩০ থেকে ৩৫ মিনিটের মতো রাখুন। পুরোপুরি শুকানোর আগেই ধুয়ে ফেলুন।
ডিম ও কলার মিশ্রণ
একইরকমভাবে চুলে প্রোটিন ট্রিটমেন্ট নিতে ডিম ও কলার মিশ্রণ ব্যবহার করুন।
ফুসকুড়ি
গরমে মাথার তালুতে অনেক সময় ফুসকুড়ি ওঠে। দূর্বাঘাসের মুথা ও স্বর্ণলতা নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে চুলে ভালোভাবে লাগান।
খুশকি
শীতকালে খুশকি দূর করতে মেহেদিপাতার সঙ্গে অ্যালোভেরা মিশিয়ে লাগান ।
কন্ডিশনার
এছাড়া প্রতিবার শ্যাম্পু করার পর এক কাপ চায়ের লিকারের সঙ্গে (দুই টেবিল চামচ করে ভিনেগার, কফি, সেদ্ধ বিটের রস) একসঙ্গে মিশিয়ে কন্ডিশনার হিসেবে চুলে ব্যবহার করুন।
তেলের ম্যাসাজ
চুলে রক্ত সঞ্চালনের জন্য নারকেল তেলের ম্যাসাজ খুবই উপকারী। নারকেল তেল গরম করে হাতে নিয়ে আঙুল দিয়ে বৃত্তাকারভাবে মালিশ করুন। তারপর গরম পানিতেই তোয়ালে ভিজিয়ে ভালোভাবে চিপে মাথায় পেঁচিয়ে ধরতে ধরন। এতে করে চুলে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে এবং চুলের গোড়া শক্ত হয়।
ফলমূল ,পানি সামুদ্রিক মাছ
এ ধরনের চুল যাদের রয়েছে তাদের প্রচুর পরিমাণে ফলমূল ও পানি খেতে হবে। পাশাপাশি খেতে হবে সামুদ্রিক মাছ। কারণ সামুদ্রিক মাছ খেলে চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ে।