গর্ভাবস্থায় আমলকীর চমৎকার ভূমিকা

গর্ভাবস্থায় আমলকীর চমৎকার ভূমিকা

গর্ভাবস্থায় আমলকীর চমৎকার ভূমিকা

গর্ভাবস্থায় যেকোনো খাবারই একটু বুঝেশুনে খেতে হয়। এ সময় শরীরের বিভিন্ন পরিবর্তনের কারণে বমি বমি ভাব হয় বা বমি হয়। এ কারণেও অনেক সময় খাবার খেতে ভালো লাগে না। আমলকী হচ্ছে এমন একটি খাবার, যেটি গর্ভাবস্থায় খাওয়া ভালো। আমলকী একধরনের ভেষজ ফল। একজন মানুষ প্রতিদিন ৬ দশমিক ৫ গ্রাম আমলকী খেলে অনেক রোগ থেকেই মুক্ত থাকতে পারেন। আমলকীতে  থাকে সলিউবল ফাইবার, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন-সি। গর্ভাবস্থায় মুড ভালো করতে আমলকীর একটি চমৎকার ভূমিকা রয়েছে।

গর্ভাবস্থায় এটি খেলে সময়ের আগে প্রসব হওয়ার ঝুঁকি কমে। এটি শিশুর স্মৃতিশক্তি ভালো করতে সাহায্য করে। এর মধ্যে থাকা আয়রন রক্তস্বল্পতার সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করে। এ ছাড়া গর্ভাবস্থায় আমলকী খাওয়ার রয়েছে আরো কিছু উপকারিতা। লাইফস্টাইল বিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই-এর স্বাস্থ্য বিভাগে প্রকাশিত হয়েছে গর্ভাবস্থায় আমলকী খাওয়ার উপকারিতা নিয়ে একটি প্রতিবেদন :  কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে গর্ভাবস্থায় অনেক নারীই গ্যাসট্রোইনটেসটাইনাল সমস্যায় ভোগেন। যেমন : কোষ্ঠকাঠিন্য, পাইলস ইত্যাদি।

খাদ্যতালিকায় আমলকী রাখলে এটি শরীরের সলিউবল ফাইবারের চাহিদা পূরণ করে। এর মধ্যে থাকা আঁশ গ্যাসট্রোইনটেসটাইনাল সমস্যা প্রতিরোধে সাহায্য করে।    রক্তচাপ কমায় আমলকীর মধ্যে রয়েছে উচ্চমাত্রায় ভিটামিন সি। এটি রক্তনালিকে বিস্তৃত করে। এতে রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে। সকালের ক্লান্তিভাব সকালের ক্লান্তিভাব গর্ভাবস্থার একটি বড় সমস্যা। আমলকী শক্তি বাড়ায়, অবসন্নতা এবং ক্লান্তিভাব দূর করে। রক্ত পরিশোধন করে এটি শরীর থেকে টক্সিক উপাদান বের করে দিতে সাহায্য করে। এটি ভ্রূণকে ভালো রাখতে সাহায্য করে। তবে যেকোনো খাবারই বেশি খাওয়া ঠিক নয়। খালি পেটে আমলকী খেলে এবং অতিরিক্ত খেলে এসিডিটির সমস্যা হতে পারে। তাই পরিমিত খাওয়া ভালো।