বর্তমান আবহাওয়ার কারণে তৈলাক্ত ত্বকে নানা ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়। গরমে ঘেমে তৈলাক্ত ত্বক একদম মলিন হয়ে পড়ে। এসময় তৈলাক্ত ত্বকের গ্রন্থিগুলো সক্রিয় হয়ে ওঠার কারণে ত্বক তেলতেলে হয়। তেল চিটচিটে ত্বক অনেক অস্বস্তিকর। এর থেকে মুক্তি পেতে হলে তৈলাক্ত ত্বকের একটু বাড়তি যত্নের প্রয়োজন। এক্ষেত্রে আপনি ফেসিয়াল মিষ্ট ব্যবহার করতে পারেন।
আজকে আপনাদেরকে বাড়িতে সহজলভ্য প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি একটি ফেসিয়াল মিষ্ট এর রেসিপি দেব:
উপকরণ:
*পুদিনা পাতা।
*গোলাপ ফুল।
*ঘৃতকুমারী।
*লেবু।
*স্প্রে বোতল।
প্রস্তুত প্রণালি:
স্তেপ-১
প্রথমে তাজা ঘৃতকুমারী নিন এবং কাটা চামচ দিয়ে এর ভিতরে জেলের মতো যেই নির্যাস আছে তা বের করুন। এরপর এক টেবিল চামচ ঘৃতকুমারী জেল স্প্রের বোতলে নিন। আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে যে স্প্রে বোতলটা যাতে ভালোভাবে পরিশোধন করা থাকে।
আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে ঘৃতকুমারীর নির্যাস অ্যান্টি-অক্সিদেন্ত এর প্রধান উৎস, যাতে আছে ব্যাটা ক্যারোটিন, ভিটামিন ই এবং সি।
স্টেপ-২
এই পদক্ষেপে, এক টেবিল চামচ লেবুর রস নিন এবং ঘৃতকুমারীর রসের সাথে যোগ করুন। যদি আপনার সংবেদনশীল ত্বক হয়, তাহলে আপনি অর্ধেক টেবিল চামচ লেবুর রস মিশ্রনে যোগ করতে পারেন।
লেবুর রসে উচ্চ মাত্রায় ভিটামিন সি আছে। ইহা আপনার ত্বকের রং এর উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। ত্বকের স্নিগ্ধতা এবং তারুণ্যতা ধরে রাখার জন্য লেবু খুব ভালো ময়েশ্চারাইজার এবং টোনার হিসেবে কাজ করে।
স্টেপ-৩
একটি বাটির মধ্যে কুসুম গরম পানি নিন এবং কিছু গোলাপের পাতা এর মধ্যে দিন। আমি গোলাপের পুষ্পশোভিত ঘ্রাণ ভালোবাসি, তাই আমি ২ টি মাজারি আকৃতির গোলাপ ফুলের পাপড়ি নিয়েছি।
গোলাপের পাপড়ি ব্যাকটেরিয়া বিরোধী, ময়েসচারাজিং এবং প্রদাহ বিরোধী। এটা ত্বককে নরম, মসৃণ এবং উজ্জ্বল আভা সৃষ্টি করে। পানিতে ভেজানো গোলাপের পাপড়ি তৈলাক্ত ত্বকে টোনার হিসেবে তৈলাক্ত ত্বকে ব্যবহার করা যায়।
স্টেপ-৪
এবার আপনি এটাতে পুদিনা পাতা যোগ করুন এবং এর মধ্যে গরম পানি যোগ করুন এবং একটা চামচ দিয়ে এটাকে ভালোভাবে মেশান। ভালো ফল পাওয়ার জন্য ১৫ থেকে ২০ মিনিট রাখুন।
পুদিনা পাতা আপনার ত্বকের জন্য বেশ উপকারী-ইহার আছে অ্যান্টিসেপটিক, অ্যান্টি- মাইক্রবিয়াল এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান, যা আপনার ত্বকের সংক্রমণ, চুল্কানি, প্রদাহ, ব্রন ইত্যাদি ত্বকের সমস্যা থেকে মুক্তি দেই।
স্টেপ-৫
পুদিনা পাতা এবং গোলাপের পাপড়ি ঠাণ্ডা না হওয়া পর্যন্ত একত্রে রাখুন এবং স্প্রের বোতলে এই দুটোর মিশ্রণ ঢেলে দিন। এবার সব রকমের উপাদানগুলোকে বোতলে ভালোভাবে ঝাঁকিয়ে মেশান। ব্যাস তৈরি হয়ে গেলো আপনার প্রাকৃতিক ফেসিয়াল মিষ্ট।
আপনি এই ফেসিয়াল মিষ্ট ১ সপ্তাহ পর্যন্ত রেখে ব্যবহার করতে পারেন। চোখ বন্ধ করুন এবং এই মিষ্ট স্প্রে করুন। ৩ থেকে ৪ বার এই মিষ্ট আপনার ত্বকে স্প্রে করলে আপনি সতেজতা অনুভব করবেন এবং গ্রীষ্মকালের প্রখর তাপদাহ থেকে আপনার ত্বককে রক্ষা করতে পারবেন। তাজা লেবু, পুদিনা পাতা এবং গোলাপের পাপড়ির সুবাস সঙ্গে সঙ্গে আপনার ত্বককে দিবে সতেজতা, ঝরঝরে, কোমল অনুভব।-সুত্র: স্টাইলইক্রেজি।