বয়স বাড়ার সাথে সাথে সূক্ষ্ম রেখা, বলিরেখা, কালো দাগ নানা ধরনের সমস্যা ধীরে ধীরে দেখা দেয় যা ত্বককে নিস্তেজ ও প্রাণহীন করে তোলে। ত্বকের বার্ধক্য প্রক্রিয়াকে ধীর করতে পারে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ও ত্বকের সঠিক যত্ন। টানটান ও উজ্জ্বল ত্বক ধরে রাখতে চাইলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস জেনে নিন।
১। এক্সফোলিয়েশন গুরুত্বপূর্ণ
ত্বকের মৃত কোষ অপসারণের পাশাপাশি ত্বকের গঠন উন্নত করতে সাহায্য করে এক্সফোলিয়েশন। ত্বকে সূর্যের ক্ষতির প্রভাবগুলো কমাতেও সহায়তা করে এটি। তাই নিয়মিত স্ক্রাব ব্যবহার করুন এবং এক্সফোলিয়েট করুন ত্বক।
২। ভুলবেন না ময়শ্চারাইজিং করতে
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকে প্রাকৃতিক তেলের অভাব শুরু হয়। এর মানে হচ্ছে বয়স বাড়লে ময়েশ্চারাইজিংয়ের প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি বেড়ে যায়। একটি ভালো মানের ক্রিম বা লোশন ত্বককে সুস্থ রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
৩। রোজ ওয়াটার এবং গ্লিসারিন ফেসিয়াল ময়েশ্চারাইজার
ময়শ্চারিং যেকোনো অ্যান্টি-এজিং ত্বকের যত্নের রুটিনের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। গোলাপজলে তুলো ভিজিয়ে ত্বকে ঘষুন। সমপরিমাণ গ্লিসারিন ও গোলাপজল মিশিয়ে মুখে ও ঘাড়ে আলতো করে ম্যাসাজ করুন। ত্বক দেখাবে উজ্জ্বল ও টানটান।
৪। ফেসলিফ্ট মাস্ক ব্যবহার করুন
ত্বকের বলিরেখা কমানো এবং বার্ধক্যের ঝুঁকি দূর করে ফেসলিফ্ট মাস্ক। সপ্তাহে একদিন এ ধরনের মাস্ক ব্যবহার করুন ত্বকে।
৫। কনসিলার ব্যবহার করুন
কনসিলারের ব্যবহার আরও কম বয়সী দেখাতে বেশ কার্যকর। স্কিন টোনের সাথে মানানসই একটি কনসিলার ব্যবহার করলে কালো দাগ এবং সেই সাথে ডার্ক সার্কেল দূর করা সম্ভব।
৬। প্রাইমার ব্যবহার করুন
প্রাইমার বেশ কার্যকর মেকআপের জন্য। একটি মসৃণ ভিত্তি তৈরি করে প্রাইমার। সঠিকভাবে এটি ব্যবহার করলে ত্বককে উজ্জ্বল ও সুন্দর দেখায়।
৭। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে এমন ফাউন্ডেশন বেছে নিন
বাজারে অনেক ধরনের তরল ফাউন্ডেশন পাওয়া যায় যেগুলোতে উচ্চ মাত্রার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এ ধরনের ফাউন্ডেশন ত্বককে তারুণ্যদীপ্ত করে।
৮। পেঁপে ও মধুর মাস্ক
দুই টেবিল চামচ পাকা পেঁপে ব্লেন্ড করে এবং ১ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে নিন। পরিষ্কার ত্বকে মিশ্রণটি ঘষুন ৫ মিনিট। তুলোর বল ঠান্ডা পানিতে ডুবিয়ে ত্বক পরিষ্কার করে ফেলুন। এরপর মুখে একটি আইস কিউব ঘষুন এবং ময়েশ্চারাইজ করুন।
তথ্যসূত্র: রিয়েল সিম্পল