মেজাজ ভালো করতে এই কাজটি করুন

মেজাজ ভালো করতে এই কাজটি করুন

মেজাজ ভালো করতে এই কাজটি করুন

কখনো কী এমন হয়েছে, আপনি খুব মন খারাপ করে আছেন অথচ আপনাকে প্রাণপণে হাসানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে বন্ধুটি নিরুপায় হয়ে হেসে ফেলতেই দেখলেন মনটা অনেক হালকা হয়ে গেছে। হ্যাঁ, এটাই হলো নিমিষে মেজাজ ভালো করে দেবার মূলমন্ত্র, একটু হাসি।

মেজাজ ভালো করতে এই কাজটি করুন-

মন খারাপ করে থাকাটা কোনো ক্ষেত্রেই কোনো সমাধান নয়। বরং দ্রুত মনটা ভালো করে ফেলাটাই হলো সমাধান। আমরা খেয়াল করি না বটে কিন্তু অন্যদের মুখে হাসি দেখলে আমাদের নিজেদের মুখেও নিজের অজান্তেই হাসি ফুটে ওঠে। আবার অন্যদের মুখে বিষাদ দেখলেও আমাদের মাঝে দুঃখের অনুভূতি জেগে ওঠে। এই কাজটি হবার জন্য সময় লাগে ৩০ মিলিসেকেন্ড, অর্থাৎ এক সেকেন্ডেরও কম সময়।

গবেষণায় দেখা যায়, এই কাজটা আমরা করি অবচেতনভাবেই। আমাদের মস্তিষ্কের সচেতন অংশটি এর সাথে সংশ্লিষ্ট নয় মোটেই। অন্যের অনুভূতি নিজের মাঝে প্রতিফলন আমাদের একটি জৈবিক, প্রাচীন প্রবৃত্তি। এ কারণে আপনি দেখবেন, আপনি যখন কাউকে একটি হাসি উপহার দেন, তিনিও না হেসে পারেন না। অনেক সময় তিনি না হাসলেও তার মনটা ভালো হয়ে যায় ঠিকই।

শুধু তাই নয়, গবেষণায় দেখা যায়, হাসি হাসি মুখ করে রাখলে আমাদের মানসিকতার ওপরে পড়ে অনেক বড় একটি প্রভাব। হাসি আমাদের স্ট্রেস বাড়ানোর হরমোনের পরিমাণ কমায়, আর বাড়ায় মেজাজ ভালো করার হরমোন। একইভাবে মুখ খিঁচড়ে থাকার প্রভাবও আছে মেজাজের ওপর। যারা কম মুখ খিঁচড়ে থাকেন তাদের মেজাজ বেশীরভাগ সময় ইতিবাচক থাকে।

অদ্ভুত একটা ব্যাপার হলো, কিছু নারী বোটোক্স ইনজেকশন নিয়ে থাকেন, ফলে তাদের মুখ সবসময় হাসি হাসি হয়ে থাকে। কিছু গবেষণায় দেখা যায়, মুখ খিঁচড়াতে পারেন না বলে এসব নারীদের জীবনে হাসিখুশি থাকার পরিমাণটা বেড়ে গেছে!

এমনই আরেকটা অদ্ভুত ব্যাপার হলো, ব্যাথা পাওয়ার সময়ে আপনি যদি হাসি হাসি মুখ করে থাকেন তাহলে ব্যাথা কম হয়। এই হাসিটা একেবারে খাঁটি খুশিরর হাসি হতে হবে না, জোর করে মুখ হাসি হাসি করে রাখলেও স্ট্রেস কমে এবং মেজাজ ভালো হয়। শুধু মেজাজ না, হাসিখুশি থাকাটা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো। ঘন ঘন হাসি আমাদের রক্তচাপ কমায়, ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করে এমনকি ক্রনিক রোগগুলোর ঝুঁকিও কমাতে সক্ষম।

ফেশিয়াল ফিডব্যাক হাইপোথিসিস নামের একটি তত্ব আছে যাতে বলা হয়, হাসি বা মুখ ভার করে থাকাটা শুধু অনুভূতি প্রকাশ করেই না। বরং এই কাজের প্রভাব পড়ে অনুভূতির ওপরেও। এর থেকে খুব সহজ দুটি উপায় পাওয়া যায় যাতে আমরা নিজেদের মেজাজ ভালো রাখতে পারি। বেশি হাসুন এবং মুখ ভার করা কমিয়ে দিন। এতে আপনার নিজেরও মেজাজ ভালো হবে, আপনার আশেপাশের অন্যদেরও মেজাজ যাবে ভালো হয়ে, এক সেকেন্ডেরও কম সময়ে!