Adar upokarita | আদার উপকারিতা | আদা খেলে কি উপকার হয়

যত দিন যাচ্ছে তার সাথে ক্যান্সারের  আক্রান্তর সংখ্যা ও বৃধি পাচ্ছে।  কিন্তু এর  কোন প্রতিষেধক, না থাকায়  চিকিৎসক এবং রোগী, সবার কাছেই যেন প্রচন্ড এক বিভীষিকার রূপ নিয়েছে মরণব্যাধি এইন রোগটি।

কিন্তু গবেষকেরা  অনেক গবেশনার পর খুঁজে পেয়েছেন এমন কিছু ভেষজকে যেসব  শরীরের নির্দিষ্ট অংশে পৌঁছে খুব সহজেই একটু একটু করে কমিয়ে দিতে পারে ক্যান্সারের প্রকোপকে। আর আদা সেগুলোর ভেতরে অন্যতম একটি ভেষজ উপাদান।

এই পদ্ধতি ব্যবহারটি করা গেলে ক্যান্সারকে একটু হলেও প্রতিরোধ ও দমিয়ে রাখা সম্ভব। এর জন্য এক ধরণের বিশেষ রকমের আদাকে ব্যবহার করেন গবেশকরা। গবেষকদের মতে- আদা টিউমার প্রতিরোধে বেশ কার্যকরী একটি উপাধান। এর সাথে ক্যান্সার প্রতিরোধেও আদার কোনো বিকল্প নেই। আদার ভেতরে  আছে এমন কিছু উপাদান যা একজন মানুষের শরীরের কোষগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। সেগুলোকে ইচ্ছেমতন তৈরি, সংকুচিত কিংবা ধ্বংসও করে ফেলতে পারে। তাই আমাদের আদা গ্রহণ করলে সেটি শরীরের প্রোস্টেটে জন্মানো ক্যান্সার বহনকারী কোষগুলোকেও সংকুচিত হয়ে যায় প্রোস্টেটে থাকতেই বাধ্য করে।এর ফলে ক্যান্সার প্রোস্টেটের বাইরের কোষে ছড়াতে পারেনা। তার সাথে মাঝে মাঝে ক্যান্সারের কোষগুলোকে ধ্বংসও করে ফেলে আদার এই কার্যকরী শক্তি। এর আগে মশলা হিসেবে ব্যবহৃত শিকড়জাতীয় এই জিনিসটি নানাবিধ শারিরীক প্রদাহ রোধে, গ্যাস্ট্রিকসংক্রান্ত ব্যপারে এবং জরায়ুর ক্যান্সারের কোষ ধ্বংসে চিকিত্সাশাস্ত্রকে বেশ সাহায্য করে আসছে।

মূলত, আদার ভেতরে থাকা জিনজেরোলস পদার্থটির কারণেই এমনটা সম্ভব হয় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। জিনজেরোলস যেমন শারিরীক বিভিন্ন ধরনের প্রদাহ রোধ করে ফেলে খুব সহজে, ঠিক একিভাবে কোষকে নিয়ন্ত্রণ ও করতে পারে। আর তাই কেমোথেরাপীর নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াকে এড়িয়ে চলতেই বর্তমানে কেমোর বদলে আদাকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে। চিকিৎসকদের মতে, খুব বিশেষ কোন পদ্ধতিতে নয় বা অনেকটা করেও নয়।

নিয়মিত রান্নায় হালকা আদা বাটা বা আদা গুঁড়ো রাখলেই সেটি শরীরকে ক্যান্সারের হাত থেকে অনেকটা দূরে রাখতে আপনাকে সাহায্য করবে। তারসাথে রাস্তাঘাটে খানিকটা আদাকে মশলা হিসেবেও চিবুতে পারে। এতে ক্যাংন্সার হাত থেকে খানিকটা হলে ও মুক্তি পাবেন।