খাঁটি নারকেল তেল তৈরির পদ্ধতি
চারিদিকে শুধু ভেজালের জয়জয়কার। খাঁটি পণ্য পাওয়ার কথা তো কেউ স্বপ্নেও ভাবে না। এই ভেজালের মেলায় অপেক্ষাকৃত কম ভেজালযুক্ত পণ্য কেনার প্রতিযোগিতায় মত্ত হয়ে আছে সবাই। আর নারকেল তেল খাঁটি নারকেল তেল চুলে ব্যবহার করা আর সোনার হরিণ পাওয়া যেন একই কথা।
উপকরণ
দুটি নারকেল
ছুড়ি
ব্লেন্ডার বা নারকেল কোড়ানি
রান্নার প্যান বা পাত্র ও
ছাঁকনি
পদ্ধতি
প্রথমেই নারকেলটি কেটে বা ফাটিয়ে এর মধ্যে থেকে নারকেল বের করে নিন।
যদি ব্লেন্ডার ব্যবহার করতে চান তাহলে ছুড়ি দিয়ে ছোট ছোট পিস করে নারকেল গুলো বের করে নিন।
কোড়ানি ব্যবহার করলে ছুরি দিয়ে আলাদা করে কেটে বের করার প্রয়োজন নেই; সেক্ষেত্রে নারকেল কোড়ালেই হবে।
ছোট ছোট টুকরাগুলি ব্লেন্ডারে দিয়ে ব্লেন্ড করে পেস্ট তৈরি করুন।
ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করার সময় কিছুক্ষণ পর পর সামান্য পরিমাণে পানি দিন। এতে পেস্টটি নরম এবং মিহি হবে।
পেস্টটি তৈরি করার পর ভাল করে পিষে এর থেকে নারকেলের দুধ আলাদা করে নিন। নারকেলের দুধ আলাদা করলে নারকেলের চিটা থেকে যাবে। নারকেলের চিটা খাবার হিসেবে গ্রহণ করতে পারেন। চাইলে গাছের সার হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন।
এবার এই নারকেলের দুধটি একটি রান্নার পাত্রে রেখে গরম করতে থাকুন।
কিছুক্ষণ পরেই দেখতে পাবেন নারকেলের সাদা অংশের উপরে তেল আলাদা হতে শুরু করেছে।
নারকেলের অংশটুকু বাদামী রঙ ধারণ না করা পর্যন্ত অল্প আঁচে জ্বাল দিতে থাকুন।
নারকেলের অংশটুকু পুরোপুরি বাদামী রঙ ধারণ করলে বুঝবেন বিশুদ্ধ তেল সম্পূর্ণরূপে নিঃসৃত হয়েছে।
একটি ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে তেলটি আলাদা করে নিন।
এভাবে মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আপনি পেয়ে যাবেন আপনার মনের মত বিশুদ্ধ নারকেল তেল ।
সতর্কতা
নারকেলের সাদা অংশ যেন পরিষ্কার থাকে। নারকেলে ময়লা বা ধুলা থেকে গেলে নারকেল তেল তার গুণগত মান হারায়।
নারকেলের দুধ বের করার সময় খেয়াল রাখবেন তার মধ্যে যেন নারকেলের টুকরা বা দানাদার অথবা কোড়ানো কোন অংশ থেকে না যায়। ভুলেও যদি এরকম কিছু থেকে যায় তাহলে জ্বাল দেয়ার সময় সেগুলো পুড়ে তেলের রঙ কালো করে ফেলবে।
মাঝারি বা অল্প আঁচে ধীরে ধীরে জ্বাল দেবেন। একটু পর পর চামচ দিয়ে নাড়বেন। খেয়াল রাখবেন যেন কোন ভাবেই পোড়া না লাগে। এক্ষেত্রে নন-স্টিকি ফ্রাই প্যান হলে ভাল হয়।