কুঁকড়ে যাওয়া চুলের যত্নের উপায় | kukre jaoa chuler jotner upai Leave a comment

কুঁকড়ে যাওয়া চুলের যত্নের উপায় | kukre jaoa chuler jotner upai

চুলের মধ্যে আঙুল চালিয়ে আগের মতো মসৃণ ভাবটা  লাগছে না। আগের ঝলমলে চুলগুলো  এখন কুঁকড়ে প্রাণহীন হয়ে গেছে । আবহাওয়া, অতিরিক্ত সূর্যের তাপ ও চুলে রাসায়নিক উপাদানের অতিরিক্ত ব্যবহার হলে চুল অনেক সময় কুঁকড়ে যাচ্ছে। পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাবেও চুল কুঁকড়ে যেতে পারে।

আর এই কুঁকড়ে যাওয়া চুলকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা একটু মুশকিল বটে। তবে নিয়মিত যত্নে চুলের এই ক্ষতি অনেকটাই পুষিয়ে আনা সম্ভব। আর এর  সম্পকে  রূপবিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, কীভাবে এই ধরনের চুলের যত্ন নিতে হবে।

রূপবিশেষজ্ঞ আমিনা হক বলেন, এখন যেমন আবহাওয়া চলছে, তাতে চুল তেল চিটচিটে ও রুক্ষ হয়ে পড়ে। এর জন্য চুল সব সময় পরিষ্কার ও শুকনো রাখতে হবে। তিনি জানিয়েছেন কুঁকড়ে যাওয়া চুল মসৃণ করার কয়েকটি উপায় আছে।

কুঁকড়ে যাওয়া চুলের যত্ন 

কুঁকড়ে যাওয়া চুলের যত্নের উপায় | kukre jaoa chuler jotner upai
কুঁকড়ে যাওয়া চুলের যত্নের উপায় | kukre jaoa chuler jotner upai

* সমপরিমাণ মধু ও বেসনের সঙ্গে সামান্য পানি এবং একটি ডিমের পুরো অংশ লাগিয়ে ২০ মিনিট মাথায় রেখে দিন। এরপর শ্যাম্পু  ব্যাবহার করুন।

* ১ কাপ টক দই, ১ টা ডিম, কয়েক ফোঁটা লেবুর রস, চায়ের লিকার এবং স্পা ট্রিটমেন্টে যে কন্ডিশনার ব্যবহার করা হয়, তাতে মিশিয়ে চুলে ২০-২৫ মিনিট লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন।এতে করে খুব ভালো ফল পাবেন। এই প্যাক তৈরিতে প্রতিদিন ব্যবহারের কন্ডিশনার না নিয়ে স্পা ট্রিটমেন্টের কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। এটি যেকোনো সুপার শপ বা প্রসাধনীর দোকান থেকে সংগ্রহ করুন।

* সমপরিমাণ মসুর ডাল, লেবুর খোসা একসঙ্গে বেটে নিন।তার পর  সঙ্গে মধু ও ডিম মিশিয়েও চুলে লাগান।

* চুল বেশি রুক্ষ মনে হলে প্রতিদিন শ্যাম্পু করার আগে চুলের গোড়া ও পুরো চুলে তেল লাগান এবং চুল ধোয়ার পর অবশ্যই কন্ডিশনার ব্যবহার করবেন।

* লাল জবা ফুল বেটে  এর সঙ্গে সমপরিমাণ তিলের তেল, সরিষার তেল ও নারকেল তেল মিশিয়ে জ্বাল দিয়ে ছেঁকে ঠান্ডা করুন। প্রতিদিন  তেলের বদলে এটি চুলের ত্বকে ম্যাসাজ করুন।

* চুলে কোনো প্যাক ব্যবহারের আগে স্পা ট্রিটমেন্টের কন্ডিশনার অল্প একটু পানির সঙ্গে মিশিয়ে শুকনো চুলেই ব্যবহার করুন। ২০ মিনিট রেখে তার ওপর হেয়ার প্যাক লাগান, তারপর আরও ২০ মিনিট মাথাই রেখে চুল ধুয়ে ফেলুন। শ্যাম্পু লাগানপর ও কন্ডিশনার ব্যবহার করতে ভুলবেন না। সপ্তাহে দুই দিন কমপক্ষে চুল মসৃণ করার প্যাকটি ব্যবহার করুন।

*  কমপক্ষে মাসে দুবার অবশ্যই হেয়ার স্পা ট্রিটমেন্ট করাতে হবে এবং হট অয়েল ম্যাসাজ নিতে হবে সপ্তাহে দুবার। তা না হলে ক্ষতিগ্রস্ত চুলে প্রাণ ফিরিয়ে আনা অসম্ভব।

রূপবিশেষজ্ঞ তানজিমা শারমিনও বলে দিয়েছেন এ ধরনের চুলের যত্নের কিছু উপায়।

তাঁর মতে, মাথার ত্বক পরিষ্কার ও শুষ্ক রাখা খুব জরুরি। বাইরে ধুলাবালি ও রোদ থেকে রক্ষা পেতে মাথা ঢেকে রাখার পরামর্শ দেন তিনি। বাসাই এসে অবশ্যই শ্যাম্পু করতে হবে। পরে ব্যবহারের জন্য চুলের ধরন জেনে বেছে নিতে হবে মৃদু কোনো শ্যাম্পু। এরপরে প্রোটিনসমৃদ্ধ কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। তোয়ালে দিয়ে চুল ঘষে ঘষে না শুকিয়ে চেপে চুলের পানি নিংড়ে বাতাসে শুকিয়ে নিন। ভেজা চুলে হেয়ার সেরাম ব্যবহার করুন।তারপর মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুলগুলোকে ভাগ ভাগ করে শুকিয়ে নিন।

চুলের কুঁকড়ে যাওয়া রোধ করতে অতিরিক্ত আয়রন করা থেকে বিরত থাকুন। রিবন্ডিং, রং করার আগে অবশ্যই একজন রূপবিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহন করুন।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *