ছেলেদের ত্বক এবং চুলের সমস্যার সমাধান
ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে শীত ও আবার ঘুরে চলে আসে। শীতে সাথে সাথেই শুরু হয়ে যায় ত্বক ও চুলের সমস্যা। অনেকে মনে করেন ছেলেদের রূপচর্চার কোনো দরকার নেই । কিন্তু শীতের শুরুতে অনেকের ত্বকেরও অনেক সমস্যা শুরু হয়। চুল ভাঙ্গা, রুক্ষ ও চিটচিটে হয়ে যাওয়া, র্যাশ, ত্বকের শুষ্কতা, ঠোঁট ফাটা, পায়ের গোড়ালী ফাটা আরও কত কি সমস্যার সৃষ্টি হয়। সাধারণত হঠাৎ করে ঋতু পরিবর্তনের সময় ত্বকের সহনশীলতা বদলে যায় ফলে এই সব সমস্যাগুলো সৃষ্টি হয়ে থাকে। তাই আজ আমরা এই শীতে ছেলেদের ত্বকের ও চুলের কিছু সাধারন সমস্যা নিয়ে এবং এর প্রতিকার সম্পকে জানব
ত্বক– শীতর মধ্যে ত্বকের অন্যতমএকটি সমস্যা হচ্ছে শুষ্কতা। মুখ ধোয়ার পরে ত্বক এত টানটান হয়ে থাকে যা খুবই অস্থিকর। ক্রিম লাগানোর পরে কিছুক্ষন পর্যন্ত ভালো থাকলেও কিছুক্ষন পর অতিরিক্ত তেলে মুখ চিটচিটে হয়ে যায়। ফলে বারবার মুখ ধুতে হয়। তাই এ সময় ত্বকের জন্য চাই একটু অতিরিক্ত যত্ন। ত্বকের শুষ্কতা কমানোর জন্য প্রতিদিন সকালে ও রাতে মশ্চারাইজার যুক্ত ক্রীম ত্বকে ব্যাবহার করুন। এছাড়া রাতে ঘুমানোর আগে ১/৪ কাপ দুধ এ ১ চামুচ মধু ও ১ চামুচ এলোভেরা জেল মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে দিন। ২০ মিনিট পর কুসুম গরম পানিতে মুখ ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। এর ফলে আপনার ত্বকের শুষ্কতা তো কমবেই এর সাথে আপনার মুখ হয়ে উঠবে আরো কোমল ও উজ্জ্বল।
চুল-
শীত কালে অনেকেরই চুল রুক্ষ হয়ে যায় এবং চুলে মধ্যে চিটচিটে ভাব চলে আসে। এর ফলে অনেক সময় চুলের আগা ফেটে যায়।এর জন্য এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে শীতের রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে চুলে মধ্যে নারিকেল তেল বা অলিভ অয়েল গরম করে ত্বকে ম্যাসাজ করে নিন। একটি স্টীলের বাটিতে নারিকেল তেল অথবা অলিভ অয়েল নিয়ে নিন। এবার একটা কাচা আমলকী কেটে এর সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এবার এটাকে চুলের উপর একটা কাপড় দিয়ে ধরে কিছুক্ষন গরম করে নিন। কিছুক্ষন রেখে গিয়ে কুসুম গরম থাকতে চুলের আগায় ও গোড়ায় ভালো করে আঙ্গুল দিয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে তেল ম্যাসাজ ক্রুন । মনে রাখবেন কখনোই খুব গরম তেল চুল লাগাবেন না। এতে চুল পরে যেতে পারে। সারা রাত চুলে তেলের উপস্থিতিতে চুলের রুক্ষ ভাব কেটে যাবে এবং চুল হয়ে উঠবে ঝলমলে উজ্জ্বল।
পা-
শীতের দিনে আরেকট অন্যতম সমস্যা হচ্ছে পায়ের গোড়ালী ফেটে যাওয়া। এ থেকে মুক্তি পাবার জন্য প্রতিদিন ঘুমানোর আগে অবশ্যই পায়ে পেট্রোলিয়াম জেলী লাগিয়ে নিতে পারেন। এছাড়া প্রতিদিন গোসলের সময় শক্ত কিছু দিয়ে পায়ের গোড়ালীটা একটু ঘষে নিতে পারেন। এতে মৃত কোষগুলো বের হয়ে যাবে। এছাড়া নিয়মিত মশ্চারাইজার যুক্ত লোশন ব্যাবহার করুন। এতে করে হাত পায়ের খসখসে ভাব থাকে না।