কনুই শরীরের এমন একটি অংশ, যেখানে নিয়মিত ঘষা লাগে। আর তাই স্বাভাবিকভাবেই শরীরের অন্যান্য জায়গার তুলনায় এখানকার ত্বক খসখসে ও কালচে দেখায়। অনেকের কাছেই যেটা মনোকষ্টের কারণ। তবে নিয়মিত যত্ন নিলে কনুইয়ের ত্বকেও উজ্জ্বলতা ফিরে আসে। প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করেই এই অংশের যত্ন নেওয়া যায়। লেবু, মধু, নানা রকম ফল–মূল ও দুধের সাহায্যে কনুইয়ের যত্ন নিতে দেখে নিন রুপবিশেষজ্ঞদের এসব পরামর্শ।
সবজির সঙ্গে লেবু রস মিশিয়ে
লেবুর রস ও চিনির মিশ্রণ স্ক্রাবিংয়ের কাজ করবে আবার কালচে ভাব দূর করতেও সাহায্য করবে। সুজি হালকা টেলে নিয়ে তাতে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস দিয়ে স্ক্রাব করা যেতে পারে। তুলসী পাতা, লেবু ও মধুর মিশ্রণ ত্বকে হালকা ম্যাসাজ করে ২০ মিনিট রেখে তুলে ফেলতে হবে। এটি করতে হবে সপ্তাহে তিন দিন। আলুর রস ও মধুর মিশ্রণের ব্যবহারেও কালচে ভাব কমবে। অর্ধেকটা আলু থেঁতলে রস বের করে নিন। তার সঙ্গে আধা চামচ মধু মিশিয়ে একটা মিশ্রণ তৈরি করুন। এবার সেটা কনুইতে লাগিয়ে ৩০ মিনিট রেখে দিন। শুকিয়ে এলে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে কয়েক সপ্তাহ ব্যবহার করুন। টমেটো পেস্টের সঙ্গে মধু মিশিয়ে ব্যবহার করলেও ব্লিচের কাজ করবে। চন্দন ও লেবুর খোসাবাটা একসঙ্গে মিশিয়ে কিছুক্ষণ লাগিয়ে রাখলে কনুইতে কালচে ভাব কমে যাবে।
দুধের সাহায্যে
একটা পাত্রে দুধের সর, কয়েক ফোঁটা পেস্তা বাদামের তেল ও সামান্য পরিমাণ গ্লিসারিন মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। এবার সেটা কনুইয়ের ত্বকে লাগিয়ে রেখে কিছু সময় পর মালিশ করে তুলে ফেলুন। এতে ত্বক কোমল হবে। দুধ, মধু ও লেবুর মিশ্রণও ত্বক উজ্জ্বল করে, কনুইতে দিলে কালচে ভাব কমবে। ওটমিল ও দুধ মিশিয়ে কনুই ও হাঁটুতে স্ক্রাব করা যেতে পারে। এতে খসখসে ভাব কমে ত্বক কোমল হবে।
ফুল ও ফলের সাহায্যে
গোলাপ ফুলের পাপড়ি, টক দই ও ময়দা মিশিয়ে কনুইতে ১৫-২০ মিনিট লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন। এটি কালচে ভাব দূর করে। গাঁদা ফুলের পাপড়ি শুকিয়ে গুঁড়া করে ফেসওয়াশের সঙ্গে মিশিয়ে হাঁটু ও কনুই পরিষ্কার করতে পারেন। পাকা পেঁপের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা গ্লিসারিন, মধু ও বেসনের মিশ্রণ ব্যবহার করলে কনুইতে কালো রং হালকা হয়ে যাবে।