অলিভ অয়েলঃ
ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে ডিমের হলুদ অংশ এক চামচ অলিভ অয়েলের সঙ্গে মিশিয়ে নিয়ে মুখে লাগান। সপ্তাহে দুইদিন লাগালে শুষ্কতা দূর হয়ে যাবে। অলিভ অয়েল সামান্য গরম করে মাথার স্ক্যাল্পে ও চুলে ম্যাসাজ করুন,আধা ঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন।আপনার চুলে যদি রুক্ষভাব থেকে থাকে তাহলে চলে যাবে।
নারকেল তেলঃ
নারকেল তেল অল্প গরম করে কয়েকটা জবাফুল দিয়ে ফুটিয়ে নিন। ঠান্ডা হলে তেলটা ছেঁকে নিন।তেলটুকু চুলে লাগালে ঘন ও কালো কুচকুচে হবে। দুই চা-চামচ চালের গুঁড়া, দু’চা- চামচ রকেল তেল,চার চা-চামচ দুধ মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। পেস্টটি মুখ,কাঁধ ও পিঠে ঘষে ঘষে লাগান।ত্বকে জেল্লা ফিরে আসবে।
আমন্ড অয়েলঃ
আমন্ড অয়েল,টমেটোর রস,অল্প বেসন, লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগান।এতে ত্বকের রং আস্তে আস্তে হালকা হবে। রাত জাগতে জাগতে অথবা রাত ধরে অনেক্ষন কাজ করতে করতে চোখের চারপাশে ডার্ক সার্কেল দেখা দেয়। রাতে শোয়ার আগে আমন্ড অয়েল চোখের চারপাশে হালকাভাবে ম্যাসাজ করুন।
মধুঃ
মধু রুপচর্চার অন্যতম উপাদান হিসাবে ব্যববৃত হয়। ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে মধুর কোন বিকল্প নেই।ত্বকের খসখসে ভাব এড়াতে টক দই,মধু,লেবুর রস,ওটমিল মিশিয়ে লাগান। কিছুক্ষণ পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ব্ল্যাকহেডস দূর করতে ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে ওটমিল ও মধু মিশিয়ে লাগান।
ধনেপাতাঃ
ধনেপাতার রস দুধের রসের সাথে মিশিয়ে একমাস ধরে ঠোঁটে লাগালে কালো ভাব দূর হবে ও কোমল হবে।
তুলসীপাতাঃ
চামড়া টানটান রাখতে তুলসীপাতার রস আর নারিকেলের পানি সমপরিমানে মিশিয়ে গায়ে মুখে লাগান। মুখে স্পট দেখা দিলে তুলসীপাতা ও ঝিঙ্গের রস মিশিয়ে মুখে নিয়মিত লাগান।
পুদিনাপাতাঃ
পুদিনা পাতা পানিতে ফেলে সেই পানি ফুটিয়ে নিন। ঠাণ্ডা হলে পাতিলেবুর রস মিশিয়ে ছেঁকে নিন। গোসলের পর সারা শরীরে ঢেলে নিন। এতে ঘাম কম হবে।
রসুনঃ
অ্যাকনের সমস্যা থাকলে রসুন থেঁতো করে অ্যাকনের ওপরে লাগান। ৫ মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।অ্যাকনে দূর হয়ে যাবে।
এছাড়া রসুনের কোয়া বেটেও লাগানো যায়।
আমলকীঃ
দুধে শুকনো আমলকী ২-৩ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন।এরপর সেগুলোকে বেটে চুলের গোঁড়ায় ঘষে ঘষে লাগান।এতে চুল চকচক করবে। আমলকির রস ও আঙুরের রস একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে নিন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন।
আমাদের পেজে লাইক দিতে ভুলবেন না।