ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার করার নতুন পদ্ধতি হল ডাবল ক্লিনজিং। জাপানে ভারি মেইকআপ পরিষ্কার করার জন্য ডাবল ক্লিনজিং পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়।
এতে মেইকআপ এবং ত্বকে জমে থাকা ময়লা উঠে আসে এবং ত্বক শ্বাস নিতে পারে। মেইকআপ-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এই বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়।
দিন শেষে ত্বক সঠিকভাবে পরিষ্কার না করা হলে মেইকআপ এবং ধুলাবালি জমে লোমকূপ বন্ধ হয়ে যায়। ত্বকে জমে থাকা তেল এবং ধুলাবালি থেকে ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ হয়। তারপর ব্রণ বার ‘র্যাশ’ ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়। তাই নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার করা অত্যন্ত জরুরি।
ডাবল ক্লিনজিং করার পদ্ধতি-
কী এই ডাবল ক্লিনজিং
দুই ধাপে বা দু’ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার করে ত্বক পরিষ্কার করার পদ্ধতিকে ডাবল ক্লিনজিং বলা হয়। সাধারণত দিন শেষে এই পদ্ধতি অনুসরণ করে ত্বক পরিষ্কার করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন ত্বক বিশেষজ্ঞরা।
এই প্রক্রিয়ায় প্রথমে তেল সমৃদ্ধ একটি প্রসাধনী ব্যবহার করে ত্বক পরিষ্কার করা হয়। এরপর ফোমজাতীয় ক্লিনজার দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করা হয়।
এ পদ্ধতিতে ত্বক থেকে ভারি ক্লিনজার দিয়ে মেইকআপ এবং অতিরিক্ত ‘সিবাম’ তুলে ফেলা হয়। পরের ধাপে হালকা ক্লিনজার দিয়ে ত্বক পরিষ্কারের ফলে ধুলাময়লা এবং মৃত কোষও দূর হয়।
কেনো প্রয়োজন
পরিবেশ দূষণের কারণে এখন ঘরের বাইরে পা রাখলেই ত্বক দারুণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আর রোদের তাপ, দূষণ, মেইকআপ ইত্যাদি কারণ তো আছেই। ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ, দীর্ঘ সময় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে থাকা ইত্যাদি কারণেও ত্বকের ক্ষতি হয়। আর আছে ঘাম এবং ত্বকের স্বাভাবিক তেল নিঃসরণ।
এই প্রতিটি উপাদান সারাদিন পর ত্বক থেকে নিখুঁতভাবে পরিষ্কার না করা হলে ব্যক্টেরিয়ার সংক্রমণ বেড়ে নানারকম সমস্যা হতে পারে। আর এই কারণেই ডাবল ক্লিনজিং পদ্ধতিতে ত্বক পরিষ্কার করা দরকার।
প্রথম ধাপ: অয়েল ক্লিনজিং
ত্বকের সঙ্গে মানানসই তেল মিশ্রিত ক্লিনজার পর্যাপ্ত পরিমাণে কপালে, গালে, নাকে এবং থুতনিতে নিয়ে ভালোভাবে আলতো হাতে ম্যাসাজ করতে হবে। ত্বক শুকনা থাকতে হবে।
মুখে আঙুল ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করলে মেইকআপ এবং জমে থাকা ময়লা উঠে আসবে। কিছুক্ষণ পর পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
চোখ এবং ঠোঁটের মেইকআপ ওঠাতে, অয়েল ক্লিনজার ব্যবহারের আগে মেইকআপ রিমুভার দিয়ে মেইকআপ উঠিয়ে নেওয়া যেতে পারে।
দ্বিতীয় ধাপ: ফোম ক্লিনজার
সামান্য পরিমাণে ক্লিনজার হাতে নিয়ে ঘন ফেনা তৈরি করতে হবে। এই ফোম পুরো মুখে এবং গলায়, কপালে এবং নাকের ত্বকে ভালোভাবে মালিশ করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন মুখে খুব বেশি হাত দিয়ে ঘষাঘষি না করা হয়।
এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে। কপালের কাছে চুলের অংশও ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। সব শেষে নরম তোয়ালে দিয়ে শুকনা করে মুখ মুছে নিতে হবে।
পুরো প্রক্রিয়া শেষে ত্বকে অবশ্যই ভালো মানের পর্যাপ্ত পরিমাণে ময়েশ্চারাইজার লোশন বা ক্রিম লাগিয়ে নিতে হবে। নতুবা ত্বক শুষ্ক হয়ে যাবে এবং আর্দ্রতা হারাবে।
শীতের মৌসুমে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ভালোভাবে ত্বক পরিষ্কার করে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নেওয়া খুবই জরুরি।