তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন

ত্বক সাধারনত স্বাভাবিক, সংবেদনশীল, শুষ্ক ও তৈলাক্ত প্রকৃতির হয়। যাদের ত্বক তৈলাক্ত ও শুষ্ক তাদের অতিরিক্ত যত্ন নেয়া লাগে। তৈলাক্ত ত্বক যাদের তারা কিভাবে ত্বকের যত্ন নিবেন তা এখানে আলোচনা করা হল –

ত্বক থেকে অতিরিক্ত তেল বের হবে।টিস্যু পেপার দিয়ে ত্বকে চাপ দিলে তাতে তেল উঠে আসবে। মুখ ধোয়ার কিছুক্ষণ পর আবার তৈলাক্ত ভাব চলে আসবে। আপনার ত্বক খুব চকচকে অথবা নিস্তেজ দেখাবে।

দিনে দুইবার কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে এরপর ফেস-ওয়াস লাগাবেন। বাইরে গেলে বাসায় এসে অবশ্যই তেল মুক্ত ফেস-ওয়াস দিয়ে মুখ ধুয়ে নিবেন। এছাড়া সারাদিনে কয়েকবার ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে পারেন। এতে করেন অতিরিক্ত তেল চলে যাবে।

দিনে যখন মুখের তেলের কারণে মুখ খুব ঘামবে শোষক কাগজ (Blotting paper) টিস্যু পেপার দিয়ে হাল্কা চাপ দিয়ে ঘাম মুছে ফেলবেন।

বেশি করে পানি পান করুন।অন্তত ৮ গ্লাস প্রতিদিন।এতে করে দূষিত টক্সিন বের হয়ে যাবে। ত্বক সুন্দর হবে  ।

কসমেকিকস কেনার আগে অয়েল-ফ্রি কি চেক করে নিবেন। মিনারেল বেসের (Mineral based) কসমেকিকস কেনার চেষ্টা করবেন। ফাউন্ডেশন ব্যবহার করলে পাউডার ফাউন্ডেশন ব্যববার করবেন বা শুধু প্যানকেক ব্যবহার করবেন। ক্রিম জাতীয় আই-শ্যাডো ও ব্লাশ-অন কিনে পাউডার জাতীয় ব্লাশ-অন ও আই-শ্যাডো কিনবেন। কসমেকিকস কেনার সময় তাতে non-comedogenic লেবেল আছে কিনা খেয়াল করে দেখবেন। এই লেবেল যুক্ত কসমেকিকস আপনার ত্বকের জন্য উপযোগী।

 তৈলাক্ত ত্বকের উপযোগী কসমেটিকস ব্যাবহার করুন ।

ত্বকের যেখানে তেল এর পরিমাণ বেশি  সেখানে মুখ ধোয়ার পর অ্যাস্ট্রিনজেন্ট লাগালে তৈলাক্ত ভাব কমে যাবে।

তৈলাক্ত ত্বকের উপর চুল আসলে ত্বকে তৈলাক্ত ভাব বেরে যায়। তাই চুলে ব্যাংস কাট দেয়া থেকে বিরত থাকুন ও কপাল থেকে চুল সরিয়ে রাখুন।

আপনার যদি কেমিক্যাল যুক্ত প্রোডাক্ট ব্যববার করতে ইচ্ছা না হয় তাহলে ঘরে বসেই কিছু মাস্ক বানিয়ে নিতে পারবেন যা ক্ষেত্র বিশেষে ক্লিনজার ও টোনারের কাজ করবে।

১/প্রতিদিন সন্ধ্যায় একটি ডিমের সাদা অংশের সাথে ১ চা চামচ লেবু বা শসার রস ও মুলতানি মাটি মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন ১০ মিনিট। এটি ক্লিনজারের কাজ করবে।

২/দিনে ৩ বার শুধু অ্যালোভেরা জেল লাগান মুখে। ৫-১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলবেন মুখ। এটি আপনার মুখের তেল শুষে নিবে। ৩/অ্যালোভেরা জেলের সাথে ওটমিল মিশিয়ে মিশ্রন বানিয়ে তা দিয়ে স্ক্রাবিং করতে পারেন দিনে ১ বার।

৪/১ টেবিল চামচ কর্ণ ফ্লাওয়ারের সাথে কুসুম গরম পানি মিশিয়ে মাস্ক বানিয়ে নিন। এই মাস্ক দিনে ১ বার শুকিয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত লাগিয়ে রাখুন। এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

লাল মাংস, দুধ ও দুধ জাতীয় খাবার, ফ্রাই করা খাবার, সোডা, খেলে ত্বকে তৈলাক্ত ভাব আসে। তাই এসব খাবার কম খাবেন। টোনার, ক্লিনজার ব্যবহার করেও তেল কন্ট্রোল করতে না পারলে ডার্মাটোলজিস্টের পরামর্শ নিতে পারেন ।