ফ্রস্টি বা আইসি মেকআপ
শীতে ত্বকে একটা লালচে ভাব আসে। তাই আবহাওয়ার সাথে তাল মিলিয়ে এবারের টিপস ফ্রস্টি মেকআপ বা আইসি মেকআপ। এ ধরনের মেকআপের বৈশিষ্ট্যই হলো হালকা গোলাপি, আইসি ব্লু, সিলভার ও সাদার মতো ঠাণ্ডা রঙের ব্যবহার।আসুন আর দেরি না করে জেনে নেই এই মেকআপের ব্যাবহার –
প্রথমেই আসে ফাউন্ডেশনের ব্যবহার। স্কিন টোনের সঙ্গে ম্যাচ করে ফাউন্ডেশন বেছে নেওয়া উচিত। নরম-উজ্জ্বল লুকের জন্য হালকা ফাউন্ডেশনই উত্তম।
# স্কিন টোন যাতে গ্লো করে এজন্য ব্যবহার করা যেতে পারে হাইলাইটিং ক্রিম। তবে ত্বকের নরম ভাব বজায় রাখার জন্য সেটা খুব ভালো করে ব্লেন্ড করা প্রয়োজন।
# মেকআপে বাড়তি আকর্ষণ যোগ করতে যদি উইঙ্গড আইজ পেতে চান তবে প্রথমে চোখের উপরের পাতায় ল্যাশলাইন ধরে একদিক থেকে আর একদিকে আইলাইনার দিয়ে দিতে হবে।
# কারও যদি লিক্যুইড আইলাইনারে সমস্যা হয় তবে প্রথমে পেন্সিল দিয়ে টেনে তারপর লিক্যুইড ব্যবহার করা যেতে পারে।
# রাতে কোথাও পার্টিতে গেলে, ন্যাচরালি কুল-লুক মেকআপ ভালো লাগবে না। হাইলাইট ক্রিমের বদলে পিংক ব্লাশ অন লাগিয়ে নিলে খুব গ্ল্যামারাস লাগবে।
# ফ্রস্টি মেকআপের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো চোখের মেকআপ। ল্যাশলাইনের উপরের অংশে পার্লি হোয়াইট আইশ্যাডো লাগাতে হবে। সাথে ব্যবহার করা যেতে পারে ব্লু শিমারি শ্যাডো এবং বাইরের দিকের অংশের জন্য পার্লি ব্ল্যাক।
# এ ছাড়া আই শ্যাডোর কালার হিসেবে বেছে নেওয়া যেতে পারে অন্য কোনো কুল শেড। যেমন—সাদা, রুপালি, আইস ব্লু, লাইল্যাক বা পিঙ্কের মতো রং।
# পেন্সিল লাইনার দিয়ে আইল্যাশের ঠিক উপরে রেখা টানলে চোখ আরও উজ্জ্ব্বল দেখাবে। এরপর দিতে হবে মাসকারা।
# মেকআপ নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করতে চাইলে চিকবোনে ক্রিমের জায়গায় আইশ্যাডো দিয়েও হাইলাইট করা যেতে পারে।
# সাধারণত এই মেকআপের সাথে পিঙ্ক বেশি মানায়, সাথে লাগানো যেতে পারে সিলভার গ্লস।
# ফ্রস্টি মেকআপের সাথে একটু ডার্ক টাইপের ড্রেসআপ রাতের পার্টির জন্য বেশি মানানসই।