জীবনে এমন কিছু সময় আসে যখন মানুষ নিজের ভেতরে লুকিয়ে থাকা আসল স্বত্বার পরিচয় পেয়ে যান। কিছু দুঃসময়ে নিজেকে অনেক দুর্বল ভাবতে থাকা মানুষের মধ্যেও অজানা একধরণের প্রবল শক্তির আবির্ভাব ঘটে। মানুষ যখন অনেক বেশি দুঃসময়ে থাকেন তখন সে সময়টাকে পার করার জন্য নিজের ভেতরের ‘আসল আমি’টার খোঁজ পাওয়া যায় যা সম্পর্কে হয়তো তিনি নিজেই জানতেন না। এবং এরপর থেকেই অনেকের জীবন এবং চিন্তা ধারা বদলে যায় পুরোপুরি।
১) যখন খুব আপনজন জীবন থেকে চলে যান
মৃত্যু এমন একটি বিষয় যা খুবই স্বাভাবিক কিন্তু তারপরও আমরা মেনে নিতে পারি না অনেকটা দিন। কিন্তু মৃত্যুর পর যাকে ছাড়া একটি মুহূর্ত ভাবতে পারতেন না তাকে ছাড়াই বাকি জীবনটা চলতে হয় নিজের মনের ভেতরের শক্তিটাকে কাজে লাগিয়ে। একজন মানুষ সরে গেলে তাকে এই সান্ত্বনা দিয়ে ভুলে থাকা যায় যে সে জীবিত আছে ভালো আছে। কিন্তু যিনি মৃত্যুবরণ করেছেন তাকে বাকি জীবনের জন্য কাছে না পাওয়ার যন্ত্রণা ভুলে থাকার জন্যই এক ধরণের লুকোনো মানসিক শক্তি অনুভব করতে পারবেন আপনি।
২) যখন হুট করেই বিপদ নেমে আসে
বিপদ বলে কয়ে আসে না। আর বিপদে পড়লে মানুষের স্বাভাবিক কাজ হচ্ছে মুষড়ে পড়া। কিন্তু মারাত্মক অসুখ বিসুখ ধরণের বিপদ যখন নেমে আসে তখন মানুষ তা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য নিজের ভেতরের শক্তিটাকেই বেশি কাজে লাগান। মৃত্যুভয় এবং বেঁচে থাকার আগ্রহের কারণে মনের ভেতরে একধরণের অপার্থিব শক্তি এসে ভর করে। আর সে কারণে অনেকেই বলেন মনের জোরে অনেক কিছু করা সম্ভব।
৩) যখন আপনি নিজেকে একেবারে একা পাবেন
বিপদে পড়লে হাতে গোনা গুটিকয়েক শুভাকাঙ্ক্ষী বাদে কাওকে পাওয়া যায় না। আর তখনই নিজেকে অনেক বেশি একা মনে হতে থাকে। কিন্তু এই একাকীত্বের প্রয়োজন রয়েছে। কারণ এই একাকীত্বের কারণেই নিজের ভেতরের লুকোনো শক্তিটার খোঁজ পাওয়া যায়। নিজেকে এই একাকীত্বের অভিশাপ থেকে মুক্ত করার আকাঙ্ক্ষা থেকেই জন্ম এই ভীষণ শক্তিশালী সত্ত্বাটির।
৪) যখন নিজের খুব কাঙ্ক্ষিত একটি আশা ধূলিসাৎ হয়ে যায়
অনেক সময় এমন মনে হয় যে কিছু জিনিস আছে যা না হলে জীবন যাপন করা কষ্টের হয়ে যাবে, জীবনের আশা হারিয়ে যাবে এবং জীবনটাই অর্থহীন হয়ে দাঁড়াবে। কিন্তু এমন বিষয়গুলোতে আশাহত হওয়ার পরও মানুষ নতুন করে স্বপ্ন দেখেন। আর এই নতুন স্বপ্ন দেখার স্পৃহা আসে মানুষের ভেতরের লুকোনো শক্তি থেকে যা হয়তো আপনি জানেনই না আপনার ভেতরে রয়েছে।