বিড়ালের আঁচড়ে করণীয় কি 1

বিড়ালের আঁচড়ে করণীয় কি

কুকুর বা বিড়ালে কামড় দিলে প্রতিষেধক নেওয়া খুবই জরুরি। তবে যদি সাধারণ আঁচড় হয়, তাহলে কী করবেন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিড়ালে আঁচড়ে দিলে আরো বেশি সতর্ক হতে হবে। অনেকেই ভাবেন, বিড়ালের আঁচড়ে তেমন কোনো সমস্যা বা ভয় নেই। অ্যান্টিসেপ্টিক মলম লাগিয়ে নিলেই হবে।

বিষয়টা মোটেও তা নয়। বিড়ালের আঁচড় বা কামড় থেকে মারাত্মক সংক্রামক রোগ হতে পারে। 

বিড়াল আঁচড়ে দিলে কী হয়

বিড়ালের আঁচড় লাগলে ‘ক্যাট স্ক্র্যাচ ডিজিজ’ হতে পারে। সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, বিড়ালের শরীরে এক ধরনের ব্যাক্টেরিয়া জন্মায়, যার নাম ‘বোর্টোনেল্লা হেনসেলে’।

বিড়ালের কামড়, আঁচড় বা অনেক সময়ে বিড়াল চাটলেও লালা থেকে এই ব্যাক্টেরিয়া ঢুকে পড়তে পারে মানুষের শরীরে। রক্তে মিশে খুব দ্রুত সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে এই ব্যাক্টেরিয়া। এর লক্ষণগুলোও মারাত্মক। 

আঁচড়ানোর জায়গাটি অস্বাভাবিক রকম ফুলে উঠবে।

সেখানকার গ্রন্থিগুলোতে প্রদাহ শুরু হবে, ফলে চামড়ায় পুঁজ বা ঘা হতে পারে। সেই সঙ্গে জ্বর আসবে, অসহ্য মাথা যন্ত্রণা শুরু হবে, শরীর প্রচণ্ড দুর্বল হয়ে পড়বে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ব্যাক্টেরিয়া যদি মস্তিষ্কে পৌঁছে যায়, তাহলে রোগী জ্ঞান হারাতে পারেন, গুরুতর স্নায়বিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। 

কিভাবে সতর্ক থাকবেন

বিড়ালকে আদর করার সময়ে বা বিড়ালের সঙ্গে খেলার সময়ে সতর্ক থাকুন। পোষ্য বিড়াল হলে তার নখ নিয়মিত কাটতে হবে।

বিড়ালকে আদর করার পর অবশ্যই হাত সাবান দিয়ে ধুতে হবে বা সঙ্গে স্যানিটাইজার রাখতে হবে। পোষা বিড়ালকে সব ধরনের টিকা দিয়ে রাখতে হবে। তারপরও আঁচড় লাগলে চিকিৎসকের কাছে যেতেই হবে। 

আঁচড়ানোর জায়গাটি আগে পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। তার পর সেখানে অ্যান্টিসেপ্টিক মলম লাগিয়ে নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যান। নয়তো ক্ষতস্থানে ধুলোবালি লেগে সেখানে আরো নানা ব্যাক্টেরিয়া জন্মাতে পারে। আঁচড়ে রক্তপাত হলে সেই জায়গায় ব্যান্ডেজ বা গজ লাগিয়ে নিতে হবে। তারপর টিটেনাস ইঞ্জেকশন নেওয়া জরুরি। যদি ক্ষত গভীর হয় বা সংক্রমণ ঘটে, তাহলে পরিস্থিতি বুঝে সেই মতো চিকিৎসা করানো জরুরি।

সূত্র : আনন্দবাজার ডট কম