কিভাবে মানুষের আস্থা অর্জন করবেন
চোখে-চোখে তাকিয়ে কথা বলা- শুনে খুব রোমান্টিক মনে হচ্ছে এখন শুধু প্রেমিক-প্রেমিকা নয়, বরং কনফারেন্স রুমে বসের চোখে চোখ রেখেও নিজের বক্তব্য পেশ করার চেষ্টা করুন। এক্ষেত্রে আপনার চোখের তারা যদি ডায়ালেটেড অর্থাৎ বড় হয়ে থাকে, তবে এই আস্থার পরিমাণও হবে বেশি।
লিডেন ইউনিভার্সিটির মারিস্কা ক্রেট এর গবেষণায় ইউনিভার্সিটি অফ আমস্টারডামের ৬৯ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। তাদেরকে ব্যবসায় বিনিয়োগ নিয়ে একটি গেম খেলতে দেওয়া হয় যেখানে তারা নিজেদের বিজনেস পার্টনারের একটি ছোট ভিডিও ক্লিপ দেখেন। এই ভিডিও ক্লিপ আসলে ছিলো একজোড়া চোখ, যাতে চোখের তারা প্রসারিত, সংকুচিত অথবা সাধারণ অবস্থায় থাকতে দেখা যায়।
এরপর এই শিক্ষার্থীদের বলা হয়, তারা শূন্য থেকে পাঁচ ইউরো পর্যন্ত তাদের এই পার্টনারকে ধার দিতে পারেন। বিনিয়গের পর এই অর্থ তিনগুণ হবে। পার্টনার ঠিক করবে এই অর্থের কতখানি সেই শিক্ষার্থীকে সে ফেরত দেবে।
গবেষণার তথ্যে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা সেসব “পার্টনার”কে বেশি পরিমাণে অর্থ দিয়ে থাকে যাদের চোখের তারা ছিলো প্রসারিত। বিশেষ করে যে চোখ দেখে মনে হয় মানুষটি আনন্দিত, সেই “পার্টনার”কে বেশি পরিমাণে অর্থ ধার দিতে রাজি ছিলো এসব শিক্ষার্থী।
আরো একটি মজার ব্যাপার হলো, পার্টনারের চোখের তারা যেমন ছিলো, সেই শিক্ষার্থীর চোখের তারাও তেমনভাবেই প্রসারিত বা সংকুচিত হয়। তাদের চোখের তারা যখন প্রসারিত হয়, তখন তাদের বিনিয়োগ করার সম্ভাবনা বেশি দেখা যায়। অর্থাৎ, কেউ আপনাকে বিশ্বাস করছে কিনা, সেটা আপনি তাদের চোখের দিকে তাকালেই বুঝতে পারবেন।
এই গবেষণা থেকে কি বোঝা যায় চাকরির ইন্টারভিউ দিতে গেলে বা লোন নিতে গেলে আপনি যখন নিজের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রমাণ করতে যাবেন, তখন কথা বলার পাশাপাশি চোখের ব্যাপারেও নজর রাখবেন অবশ্যই।