আফসোসকে না বলে দিন

আফসোসকে না বলে দিন

আফসোসকে না বলে দিন

ভালোর প্রতি তীব্র টান থাকে সবার। সব ভালোর মালিক হিসেবে নিজেকে দেখার প্রয়াসে উর্ধ্বশ্বাসে ছুটতে থাকে সবাই। নিজের কাঙ্ক্ষিত অবস্থান, অর্জন বা সফলতা চাওয়া পর্যন্ত পৌঁছতে না পারলে আফসোসের আর সীমা থাকে না।

আফসোস মানুষকে নতুন কোনো সৃষ্টিশীল কাজ করতে দেয় না। এক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশঙ্কা থাকে দুদিক থেকে, এক- কাঙ্ক্ষিত অবস্থানে না পৌঁছনো, দুই- নতুন মৌলিক কাজে বাধা। তাই আমাদের দুঃখকে ভুলে নতুনের প্রত্যাশায় কিছু বিষয়ে একেবারেই আফসোস করা উচিৎ নয়।

ধন-সম্পদ

অর্থ ছাড়া দুনিয়া অচল- কথাটি সবাই অনুধাবন করে। তাই বলে অন্যের মতো আপনারও অঢেল ধন-সম্পদ থাকতে হবে তার কোনো মানে নেই। এসব ভেবে আফসোস করা মানে নিতান্তই পাগলামি করা। তার চেয়ে সৃষ্টিশীল চিন্তা করুন, নিজেকে এগিয়ে নেয়ার জন্য ভাবুন।

নিজের অবস্থান

পরিবার যেমনই হোক, সেটার জন্য জীবনের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকুন। এটা ভেবে সুখী হন যে আপনি অনাথ নন, আপনার জীবন কোন অনাথালয়ে কাটেনি। নামী-দামি পরিবারে জন্ম হয়নি বলে অযথা আফেসোস না করে কর্মদক্ষতা বাড়িয়ে তুলুন। তাতে আপনি সম্মানের জায়গায় পৌঁছে যাবেন।

বাহ্যিক সৌন্দর্য

মানুষের দেহের বাহ্যিক সৌন্দর্য নিয়ে অনেকেরই চরম মাথাব্যথা আছে। কারো কাছে কটু কথাও শুনতে হয়। আর তখনই মনটা ছোট হয়ে যায়। শুরু হয় আফসোস। কিন্তু ভেবে দেখুন, সৃষ্টিকর্তা আপনাকে যত্ন করেই সৃষ্টি করেছেন। হয়তো আপনার গায়ের রং বা উচ্চতা নিয়ে ভাবছেন। অথচ কতজন শারীরিক প্রতিবন্ধী আছেন। তাদের কষ্টের কথা একবার ভাবুন। তাই নিজের সৌন্দর্য নিয়ে সৃষ্টিকর্তার কাছে কৃতজ্ঞ থাকায় বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

প্রিয়জনের বিয়োগ

নশ্বর এই জীবনে মৃত্যু আপনাকে গ্রাস করবেই। এই সত্যকে ধারন করে প্রিয়জনের বিয়োগেও নিজেকে শক্ত হওয়া উচিৎ। তার মৃত্যু নিয়ে আফসোস বাড়িয়ে লাভ নেই। বরং সৃষ্টিকর্তার কাছে তার আত্মার শান্তি কামনা করুন। নিজের অন্য আপনজনদের জীবন দুর্বিষহ করে তুলবেন না। যারা এখনো আপনার চারপাশে  আছেন, তাদের সঙ্গে বেঁচে থাকুন।

দুঃখ-কষ্টে

জীবনে চলার পথে নানা রকম ঝড়-ঝাপটা আসবেই। সেই দুঃখ কষ্ট নিয়ে আফসোস না করে সেগুলোর মোকাবেলা করুন। আফসোস করলে কোনো সমাধান বের হবে না। তাহলে দেখবেন আর কোনো কষ্টই আপনাকে ছুঁয়ে যাবে না। আপনি হবেন সবচেয়ে সুখী মানুষ।