সকালবেলা খুব ভাল পোশাক আর জুতা-মোজা পরে বেরহলাম। বিকেলে যখন বাসায় ফিরে জুতা জোড়া খুললাম , তখন পা ঘেমে দুর্গন্ধে সেই নজরকাড়া আউটফিট হয়ে একদম নকআউট হয়ে গেল। এ রকম পরিস্থিতে অনেকেরই কম-বেশি পড়তে হয়।
পায়ের দুর্গন্ধের হওয়ার প্রধান কারণ ঘাম। এটি মূলত পানি ও লবণের সংমিশ্রণে হয়ে থাকে। ঘামের নিজস্ব কোনো গন্ধ নেই। আমাদের শরীরে মাইক্রোকক্কাস সেডেনটারিয়াস নামক ব্যাকটেরিয়া থাকে, যা ঘাম থেকে পুষ্টি গ্রহন করে এবং বর্জ্য নিঃসরণ করে, দুর্গন্ধের কারণ ছড়ায়। আর নিঃসৃত বর্জ্য হচ্ছে ভোলাটিলা সালফার নামক অর্গানিক অ্যাসিড। এটি খুব দুর্গন্ধযুক্ত।
সাধারণত সিনথেটিক মোজা আর বদ্ধ জুতা ব্যবহার করলে পায়ে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়। এই ধরনের জুতায় ঘাম হয় বেশি, ফলে মোজাসহ পা উন্মুক্ত করা মাত্র দুর্গন্ধটাও বেশি ছড়িয়ে থকে । অন্যদিকে পা ঠিকমতো পরিষ্কার না করে কিংবা অপরিচ্ছন্ন জুতা পরলে এ সমস্যা সৃষ্টি হয়ে থাকে । একই জুতা দীর্ঘদিন ব্যবহার করলেও এমনটি ঘটে থকে । অনেক সময় শারীরিক সমস্যার কারণেও পায়ে এই সমস্যা হয়ে থাকে ।
বাড়িতে বসেই একটু পরিচর্যার মাধ্যমে এ থেকে মুক্তি পাবেন ।
জুতা ব্যবহার
যে জুতা ব্যবহার করছেন, তার নিচের অংশ দেখুন। কারণ, জুতাতেই যদি দুর্গন্ধ থাকে, তাহলে পায়ের হাজার জত্ন করেও কিছু হবে না। জুতা স্যাঁতস্যাতে হলে এর ভেতর কিছু বেকিং সোডা ছিটিয়ে নিন , মুক্ত বাতাসে ৫-৬ ঘণ্টা শুকিয়ে নিন। এর পর বেকিং সোডা ঝরিয়ে নিন। তাতে যদি পা বেশি ঘামে, তবে খোলা স্যান্ডেল পরুন, কিন্তু এই শীতে তো আর সেটা সম্ভব নয়। তাহলে জুতার সঙ্গে অবশ্যই সুতি মোজা পরুন। নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন । ওয়াশেবল জুতা ধোয়ার সময় সুগন্ধি ডিটারজেন্ট ব্যবহার করতে পারেন । বেশি অাঁটসাঁট জুতা ব্যবহার করবেন না।নিয়মিত পা পরিষ্কার রাখুন। শুধু পানি গড়িয়ে নয়, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল সাবান দিয়ে পা পরিষ্কার রাখবেন। গরম পানিতে প্রতিদিন পাঁচ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখুন। এতে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ কমে যাবে। নিয়মিত পায়ের মৃত কোষ পরিষ্কার রাখুন। সম্ভব হলে পেডিকিউর করুন মাসে অন্তত দুবার। জুতা পরার সময় ফুট ডিওডরাইজার ব্যবহার করুন। এতে পা কম ঘামবে, দুর্গন্ধটাও কমবে।
টিপস
- সুতি মোজা ব্যবহার করুন
- নিয়মিত পা পরিষ্কার রাখুন
- দিনের কিছু সময় খালি পায়ে হাঁটুন
- একই জুতা প্রতিদিন পরবেন না
- পায়ের সাইজের মতো জুতা পরুন
- বেশি ঘাম হলে মোজা পরিবর্তন করে নিন
- ফুট ডিওডরাইজার ব্যবহার করুন