অল্প সময়ে চুল ঘন করার উপায়
সাধারনত ধুলো ময়লা, আবহাওয়া, রোদ এবং সঠিক যত্নের অভাবে চুলের মারাত্মক ক্ষতি হয়ে থাকে। চুলের ফলিকল স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়ে। এর ফলে নতুনভাবে চুল গজানোর পরিমান একেবারেই কমে যায়। এবং চুল পড়ার হার অনেকাংশে বৃদ্ধি পায়। এসব কারণে চুল হয়ে যায় পাতলা এবং একেবারে নিষ্প্রাণ।
কিন্তু ঘন, কালো ও লম্বা চুলের সৌন্দর্য সকলেরই পাওয়ার ইচ্ছা থাকে। এইসব যন্ত্রণার পরও সামান্য যত্নে চুলের ঘনত্ব এবং সৌন্দর্য বৃদ্ধি করাসম্ভব। সপ্তাহে মাত্র ২/৩ দিন খানিকটা সময় বের করে নিয়ে দুটো হেয়ার মাস্কের ব্যবহারেই পেতে পারেন ঘন, কালো ও উজ্জ্বল চুল।
১/সরিষার তেল ও মেহেদী পাতা
সাধারণত চুলে সরিষার তেল একেবারেই ব্যবহার করা হয় না। কিন্তু সরিষার তেল চুলের গোঁড়া মজবুত করে তুলতে বিশেষ ভাবে কার্যকর একটি উপাদান, যা চুল পড়া রোধ করে দেয় সহজেই। এর পাশাপাশি মেহেদী পাতা নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। ফলে চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি পায় বেশ কয়েকগুন।
পদ্ধতিঃ
২০০ গ্রাম সরিষার তেল একটি পাত্রে নিয়ে চুলায় বসিয়ে দিন। এখন এতে ১ কাপ পরিমাণ মেহেদী তাজা পাতা দিয়ে জ্বাল দিতে থাকুন। যখন দেখবেন মেহেদী পাতা পুড়ে কালো হয়ে যাবে। তখন তা চুলা থেকে নামিয়ে ছেঁকে ঠাণ্ডা করে নিন। একটি এয়ার টাইট বোতলে এই তেল সংরক্ষণ করুন। এই তেল সপ্তাহে ৩ দিন চুলে ব্যাবহার করুন। সব চাইতে ভালো ফল পাবেন সারারাত চুলে তেল লাগিয়ে রেখে সকালে সাধারণভাবে শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেললে।
২/ডিম ও অলিভ অয়েল
চুলের ঘনত্ব ব্রদ্ধির জন্য ডিম এর ব্যবহার অনেক প্রাচীন কাল থেকেই। ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন যা চুল পরা রোধ করে থাকে । এছাড়া ডিমের মধ্যে রয়েছে সালফার, জিংক, আয়রন, সেলেনিয়াম, ফসফরাস ও আয়োডিন যা নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে চুলের ঘনত্ব বাড়ায়।
পদ্ধতিঃ
একটি বাটিতে একটি ডিমের সাদা অংশ নিন। এতে ১ চা চামচ অলিভ অয়েল(জলপাই তেল) ও ১ চা চামচ মধু নিন( চুলের দৈর্ঘ্য ও পরিমাণ অনুযায়ী অলিভ অয়েল ও মধুর পরিমাণ বাড়াতে পারেন)। এরপর উপকরণগুলো খুব ভালোভাবে মেশান। যখন এটি মসৃণ পেস্টের আকার ধারন করবে তখন এত ব্যবহার উপযোগী হবে। মসৃণ পেস্টের মত হয়ে গেলে মাথার ত্বকে আলতো ঘষে মিশ্রণটি ভালোভাবে লাগিয়ে ফেলুন। ২০ মিনিট পর প্রথমে ঠাণ্ডা পানি ও পরে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত ১ বার এটি ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। ভালো ফল পাবেন।